এক মাস আগেই তীব্র লড়াইয়ে নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। এবার বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। ২০১৯ সালে বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। পরের বছরেই দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বিয়ে করেন। তবে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তাদের সংসারে ভাঙন ধরল। বুধবারই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন সানা। তবে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিচ্ছেদের পরও সাবেক স্বামী তার প্রিয় বন্ধুই থাকবেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মার্কাস রাইকোনেনের সাথে সম্পর্কে ছিলেন সানা মারিন। পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যাও রয়েছে তাদের। ২০২০ সালে করোনার ভয়াবহ দাপটের মধ্যেই বিয়ে করেন সানা-মার্কাস। তখন কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মারিন। অন্যদিকে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মে চাকরিরত ছিলেন মার্কাস। বিয়ের পর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সানা বলেন, ‘আমরা একসাথে ছোট থেকে বড় হয়েছি। এবার নতুন করে সংসার গড়তে চলেছি।’
তবে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তাদের সংসারের তাল কাটল। ইনস্টাগ্রামে আলাদাভাবে পোস্ট করেন সানা ও মার্কাস। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘একসাথে ১৯ বছর কাটিয়েছি। আমাদের এক কন্যাও রয়েছে। সমস্ত কিছুর জন্যই আমরা কৃতজ্ঞ। বিচ্ছেদের পরেও আমরা প্রিয় বন্ধু হিসাবেই থাকব।’ একই কথা লিখেছেন মার্কাসও।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসেই দক্ষিণপন্থীদের কাছে পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। ওই দেশের সংসদীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর দক্ষিণপন্থী এনসিপি সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও শরিক দলের সাথে সরকার গড়বে এনসিপিই। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে আর সানাকে দেখা যাবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ ১৯৯০ সালের পর থেকে বৃহত্তম দলের নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেয়েছে ফিনল্যান্ড।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply