সাভারে চাঁদা না পেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ব্যবসায়ীকে মারধর এবং টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাভার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম দেওয়ানকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মাসুম দেওয়ানকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ জবাব, আগামী ৭ কার্যদিবসে মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সাভার মডেল থানায় বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানার স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী চুন্নু বাদি হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম দেওয়ানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সাভার পৌরসভার নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে মাসুম দেওয়ান ছাড়াও এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন (৩০), চাঁপাইন এলাকার বাসিন্দা ও ধর্ষণের অভিযোগে সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সোহেল রানা ওরফে (৩৩), নামাগেন্ডা এলাকার হাবু মিয়ার ছেলে নাদিম দেওয়ান (২৪), উলাইল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে টিপু (২৮), কাতলাপুর এলাকার বাসিন্দা বাবু (২৮), একই এলাকার পলাশ (৩০), মজিদপুর এলাকার বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাভেল (৩৫), নামাগেন্ডা এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে সজীব (২৪)।
সাভার পৌরসভার নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে মাসুম ছিলেন সাভারের মূর্তিমান আতঙ্ক। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে রাতারাতি হয়েছেন বিপুল অর্থের মালিক। তার বিরুদ্ধে একের পর এক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকলেও মাসুমের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ছিলেন অসহায়। মামলা হওয়ার পর থেকেই মাসুম পলাতক রয়েছেন।
সংগংঠন থেকে মাশরুমের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। মাসুমকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সাভার পৌরসভার আনন্দপুর এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম ও ভূষকৃত অপর ছাত্রলীগ সোহেল রানা নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী চুন্নুর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে তারা ওই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয করে।
Leave a Reply