এক-দুই কিংবা তিন বছর নয়; দীর্ঘ তিন দশকের অপেক্ষা ঘুচল নাপোলির। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আবার সেরি আ চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে ম্যারাডোনার হাত ধরে এই শিরোপা জিতেছিল তারা। তাই দীর্ঘ খরার পর এই আনন্দ নেপলসবাসীর জন্য বাঁধন হারা।
মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল, সমীকরণও মিলে ছিল; দীর্ঘায়িত হচ্ছিল শুধু উৎসবের অপেক্ষা। গত সপ্তাহে সালেরনিতানার বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত হতো শিরোপা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বাড়ে অপেক্ষা। এমনকি গত রাতেও মাঠে না নেমেই উৎসব করতে পারত নেপলসবাসীরা। তবে গতকাল লাৎসিওর জয় ফের বাড়ায় অপেক্ষা।
আজো দেখা দিয়েছিল শঙ্কা, আয়োজনে পানি ঢেলে দিতে যাচ্ছিল উদিনেস। ত্রয়োদশ মিনিটেই নাপোলির জালে বল জড়ায় সান্দি লোভরিচ। নিস্তব্ধ হয়ে যায় যেন গোটা ইতালি। প্রথমার্ধে বল দখল কিংবা আক্রমণ; সব দিকেই নাপোলির দাপট থাকলেও সেই কাঙ্ক্ষিত গোলটাই মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অপেক্ষা ঘুচায়। ৫২ মিনিটে ওসিমেনের গোলে নাপোলি ফেরে সমতায়। আর এই গোলই নাপোলিকে তৈরি করে দেয় উৎসবের উপলক্ষ। পুরো গ্যালারিজুড়ে তখন একটাই আওয়াজ ‘আমরাই ইতালির চ্যাম্পিয়ন’, যা ছড়িয়ে পড়ে পুরো নেপলস জুড়ে।
ফলে আনন্দে যেন তর সইছিল না নাপোলি সমর্থকদের। হবেই না কেন! শিরোপাটা যে দেখা দিল ৩৩ বছর পড়ে! আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির দিয়াগো ম্যারাডোনার হাত ধরে ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সবশেষ লিগ শিরোপা জিতেছিল নাপোলি। প্রায় তিন যুগ পর ওসিমহেনরা তাদের ফিরিয়ে দিলেন সেই সুখস্মৃতি।
এদিকে উদিনেসের মাঠে খেলা হলেও, ভক্ত-সমর্থকদের ঢল নেমেছিল নেপলসের নিজেদের মাঠ ডিয়েগো আরামান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামেও। ফুটবল ইতালিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ম্যাচে ১০ হাজারের মতো নাপোলি সমর্থক হাজির ছিলেন উদিনেসের মাঠে। তবে ৫০ হাজারেরও বেশি সমর্থক উপস্থিত হন আরমান্দো স্টেডিয়ামে। খেলা দেখেন জায়ান্ট স্ক্রিনে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার উদিনেসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে নাপোলি। তবে এই ড্রয়ের আসা ১ পয়েন্টই শিরোপা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয় নাপোলির। ৩৩ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করল লুসিয়ানো স্পাল্লেত্তির দল।
Leave a Reply