আগামী শনিবার রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা। এই প্রথম কোনো রাজ্যাভিষেকে আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করবেন অ-খ্রিস্টানরা। আধুনিক ব্রিটেন যে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের দেশ, তা তুলে ধরতেই অনুষ্ঠানটিকে বিশেষভাবে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন চার্লস।
ইংল্যান্ডের রাজা ‘সরকারিভাবে’ ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’-এর প্রধান। এছাড়া তাকে ‘ধর্মের রক্ষাকর্তা’ বলেও মান্য করা হয়। প্রথাগতভাবে এই ‘ধর্ম’ খ্রিস্টান ধর্ম। কিন্তু চার্লস বরাবরই বলে এসেছেন, তিনি ‘সব ধর্মের রক্ষাকর্তা’ হিসেবেই পরিচিত হতে চান। তাই অভিষেক অনুষ্ঠানে চার্লস বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বাকিংহাম প্রাসাদ সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি যার পৌরহিত্যে হবে, সেই আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরি রেভারেন্ড জাস্টিন ওয়েলবির সাথে আলোচনা করেই অনুষ্ঠানটি এভাবে সাজানো হয়েছে। রাজ্যাভিষেক মূলত খ্রিস্টীয় রীতি মেনে হলেও এবার বিভিন্ন ধর্মের উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে বিশেষ মাত্রা দেবে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে আশা প্রকাশ করেছেন চার্লস।
শনিবারের অনুষ্ঠানে বাইবেল থেকে পাঠ করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এর আগে সব সময় এই কাজটি করে এসেছেন কোনো এক বিশপ। সুনক ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু। অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ অংশে রাজার হাতে ‘রাজকীয়’ কিছু দ্রব্য তুলে দেয়া হয়। প্রথাগতভাবে যাজক বা রাজপরিবারের সদস্যরাই এই কাজ করে থাকেন। কিন্তু এ বারের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনজন অ-খ্রিস্টান।
‘করোনেশন রিং’ বা অভিষেক অঙ্গুরীয় রাজার হাতে তুলে দেবেন লর্ড বাবুভাই পটেল (হিন্দু)। তারপর রাজাকে করোনেশন গ্লাভ বা দস্তানা দেবেন লর্ড ইন্দ্রজিৎ সিংহ (শিখ)। এরা দু’জনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এরপর রাজাকে ব্রেসলেট দেবেন পাক বংশোদ্ভূত লর্ড সৈয়দ কামাল (মুসলিম)।
অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্ভাষণ জানাবেন রাজা। তাদের মধ্যে থাকবেন মুসলিম, ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু ও শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply