করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে বের হলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে চলাচল সীমিত করতে হবে। আমরা আগে বলতাম, সবার মাস্ক পরার দরকার নেই। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে বাইরে গেলে সবার অবশ্যই মাস্ক পরা প্রয়োজন।’
করোনাভাইরাস ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে সতর্কতা অবলম্বনের যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার জন্যই তা মেনে চলা প্রয়োজন বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘খুব জরুরি না হলে ঘরের বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর একান্ত যেতেই হলে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে মাস্কের সংকট থাকলে নিজেরাই মাস্ক তৈরি করে পরা যাবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘এটি যে কেউ সহজেই ঘরে বানাতে পারেন। তিন স্তরবিশিষ্ট নতুন বা পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে মাস্ক বানানো যায়।’
‘গণপরিবহনে চললে জানার উপায় থাকে না অন্য যাত্রীদের কেউ বিদেশ থেকে এসেছেন কি না বা আক্রান্ত হয়ে কেউ গণপরিবহনে উঠেছে কি না। তাই এ সময়ে গণপরিবহনে চলাচল না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে’ যোগ করেন আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে, বিশেষত আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে সবার সহযোগিতা দরকার। কারও প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন কেউ করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে এসে হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকলে বা বাইরে ঘোরাফেরা করলে সে তথ্য অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন বা স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের উদ্যোগে করোনা মোকাবিলায় গঠিত কমিটিগুলোকে জানাতে হবে। এ জন্য জনগণের সহযোগিতা খুব দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। বাড়িতে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আচরণে পরিবর্তন না করতে পারলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।’
এ সময় কারও সাধারণ সর্দি-কাশি হলেই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানান আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘সরকার যেসব হটলাইন দিয়েছে, তাতে যোগাযোগ করতে হবে।’ সাধারণ কোনো রোগে আক্রান্ত হলে এখন হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো বলেও জানান তিনি। তবে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ হলে হটলাইনে, টেলিফোনে রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
Leave a Reply