চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের অশান্ত অঞ্চলে মঙ্গলবার বিরল এক সফরের সময় দেশটির সাথে চীনের সীমান্তে আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থিতিশীলতা এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
২ হাজার ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তটি ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ থেকে ঘন জঙ্গলের পাহাড়ের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। লাওস, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের সীমান্ত সেখানে মিলিত হয় সেই জায়গাটি ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ নামে পরিচিত। ওই এলাকা মাদক চোরাচালানের জন্য কুখ্যাত।
জাতিসঙ্ঘ বলছে, ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর পপির চাষ এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে। কারণ তা নির্মূলের প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে গেছে এবং দুর্বল অর্থনীতি আরো বেশি মানুষকে মাদক বাণিজ্যের দিকে নিয়ে গেছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং জাতিগোষ্ঠীগত সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে লড়াইও মাঝে মাঝে সীমান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে শরণার্থী বাড়ছে, কখনো কখনো চীনে মর্টার ফোটানো হচ্ছে।
চীন সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। তবে ‘পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন’ তারা মিয়ানমারকে সমর্থন করবে বলে জান্তার প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রকাশ করার কারণে সমালোচিত হয়েছে।
সেনাবাহিনী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতা চলছে। ক্ষমতার এ পটপরিবর্তন বিপুল সংখ্যক জনগণের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী মারাত্মক শক্তি দিয়ে জনতাকে পরাস্ত করে। এর ফলে ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের সূত্রপাত ঘটে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply