করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে মার্কিন পুঁজিবাজারগুলো৷ সোমবারের টালমাটাল লেনদেন মঙ্গলবার কিছুটা উর্ধ্বগতির আভাস দিচ্ছে৷
সোমবার মার্কিন পুঁজিবাজারগুলোর সবচেয়ে বড় অংশীদার পাঁচশ কোম্পানির, যাদের এস অ্যান্ড পি ৫০০ বলা হয়, দর ১২ ভাগ পড়ে যায়৷ ১৯৮৭ সালের পর এমন ধাক্কা আর খায়নি৷ বিশেষ করে প্রযুক্তি নির্ভর নাসদাক এক্সচেঞ্জে রেকর্ড পরিমাণ দরপতন হয়৷
এমনটা হবে আগেই বোঝা যাচ্ছিল৷ সেজন্য রোববারই কেন্দ্রীয় কোষাগার মার্কিন অর্থনীতির সহযোগিতায় এগিয়ে আসে৷ এতে কিছুটা কাজ হয়েছে৷ মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বেড়েছে ০.৮ ভাগ৷ এর অর্থ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা এসেছে৷ পুঁজিবাজারে তারা বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হচ্ছেন৷
এদিকে, ইউরোপের পুঁজিবাজারগুলো এখনো নিম্নমুখী৷ লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ (এফটিএসই ১০০) মঙ্গলবার শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত এর প্রায় ১ ভাগ দর পড়েছে৷ ইউরোপের অধিকাংশ কোম্পানিগুলো তাদের অবনমন দেখছে৷
জার্মানির ড্যাক্স মঙ্গলবার পড়েছে ০.৩৭%৷ দেশটির গাড়িনির্মাতা কোম্পানি ফক্সভাগেন মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা তাদের ইউরোপীয় কারখানাগুলো বন্ধ রাখবে৷ করোনা ভাইরাসের কারণে এ সপ্তাহের শেষে তারা স্পেন, পর্তুগাল, শ্লোভাকিয়া ও ইটালির কারখানাগুলো বন্ধের ঘোষণা এরই মধ্যে দিয়ে দিয়েছে৷ বাকি কারখানাগুলো কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখবে তারা৷ এর অর্থ বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারাবেন৷
এদিকে, যুক্তরাজ্যের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসও জানিয়েছে, আগামী চারদিন ফ্রান্স ও স্পেনে উৎপাদন বন্ধ রাখবে৷ এ সময় তারা করোনার প্রকোপ পর্যবেক্ষণ করবে৷
বিশ্বের অন্য বড় গাড়ি কোম্পানি, যেমন পোগো, রেনো, ফিয়াট ও ফোর্ড এরই মধ্যে তাদের বেশিরভাগ ইউরোপীয় কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে৷
এশিয়ার পুঁজিবাজারগুলোও খুব একটা ভালো করছে না৷ জাপানের নিক্কেই ২২৫ শূন্যের কিছুটা ওপরে থেকে মঙ্গলবার শেষ করেছে৷ তবে সাংহাই পড়েছে ০.৩ ভাগ৷ এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে হংকংয়ের শেয়ারবাজার৷ দর বেড়েছে এক ভাগের কিছু কম (০.৮৭ ভাগ)৷ ভারতের মুম্বাইয়ের বাজারে অবশ্য মন্দাভাব চলছেই৷ মঙ্গলবারও দর পড়েছে আড়াই ভাগের বেশি৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
Leave a Reply