রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজ দেশের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করায় ওলেসিয়া ক্রিভৎসোভা নামের এক শিক্ষার্থীকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও আনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে অবমাননার অভিযোগে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওলেসিয়া ক্রিভৎসোভা রাশিয়ার আরখাঙ্গেলস্ক শহরের নর্দার্ন ফেডারেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তার পায়ে ইলেক্ট্রিক ট্যাগ যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে তার প্রতিটি পদক্ষেপ নজরে থাকে রুশ সরকারের। এমনকি রাশিয়ার সন্ত্রাসী এবং কট্টরপন্থীর তালিকায়ও উঠে গেছে ওলেসিয়ার নাম।
ওলেসিয়া বলেন, ‘আমি ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় বাড়ির সামনের দরজা খোলার শব্দ পাই। তাকিয়ে দেখি ঘরে প্রচুর পুলিশ ঢুকছে। তারা আমার ফোন নিয়ে যায়।’
পরে ওলেসিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে অবমাননার অভিযোগ গঠন করা হয়। ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। এরই মধ্যে আদালত তাকে গৃহবন্দী করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
Leave a Reply