ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশ সফর। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান শনিবার নেতানিয়াহুর শপথ গ্রহণের পর তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। ইসরাইলি সূত্র জানায়, এ সময় দুই দেশ নেতানিয়াহুর আমিরাত সফর ‘দ্রুত’ হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়।
নেতানিয়াহু আগের দফায় ক্ষমতায় থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডে সই করেছিলেন। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
বাহরাইন ও সুদানের সাথে স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়া মন্থর হলেও আমিরাতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। ইসরাইলি পর্যটকেরা ব্যাপকভাবে দুবাই যাচ্ছে, দুই দেশ গত বছর ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিও করেছে।
আমিরাত সফর হবে নেতানিয়াহুর জন্য একটি প্রতীকী বিজয়। তিনি ফিলিস্তিনের সাথে সঙ্ঘাতে কোনো ধরনের ছাড় না দিয়েই ইসরাইলের আরব প্রতিবেশীদের সাথে চুক্তি করে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছেন বলে দাবি করেন।
নেতানিয়াহু ইতোমধ্যেই বলেছেন, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন সম্প্রসারণ করবে। আর এটাই হবে তার নতুন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
এদিকে সোমবার ইসরাইলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন জানিয়েছেন, তিনি ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা আর দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে মরক্কোর মার্চ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
গত বছর ইসরাইলে আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো, মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইসরাইল। এটি হবে তারই ধারাবাহিকতা।
সূত্র : মিডলইস্ট নেট
Leave a Reply