মিয়ানমারের সামরিক সরকার এবং আফগানিস্তানের তালেবান নেতারা নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘে দূত পাঠাতে পারবে বলে আগে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা স্থগিত করেছে। ফলে দেশ দুটির সাবেক সরকারের আমলে নিয়োগ করা দূতরাই বহাল থাকবেন। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপ দাবি করায়, লিবিয়ার জাতিসঙ্ঘ আসনটির ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।
১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতভাবে শুক্রবার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
এর ফলে মিয়ানমার, আফগানিস্তান ও লিবিয়ার বর্তমান সরকারের বৈশ্বিক স্বীকৃতি লাভের পথে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলো।
মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা গত বছর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেত্রী আং সান সুচিকে উৎখাত করার পর থেকে দেশটির জাতিসঙ্ঘ দূত নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু জাতিসঙ্ঘের এই সিদ্ধান্তের ফলে সুচি সরকারের আমলে নিযুক্ত দূত কিয়াও মোই তুনই তার পদে বহাল থাকছেন।
একইভাবে আফগানিস্তানের আসনটিতে বহাল থাকবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির আমলে নিযুক্ত কর্মকর্তা। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পর কাবুল তাকে বরখাস্ত করেছিল।
সূত্র : আলজাজিরা
Leave a Reply