বড় লক্ষ্যের আভাস মিলেছিল আগেই। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র দেড় শ’ রানে। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার পরই এই পরিস্থিতিতে পড়ার প্রেক্ষাপট তৈরি করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ফলাফল যা হবার তাই হলো; টাইগারদের সামনে ৫১৩ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে দিলো ভারত।
শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ ঘণ্টায় গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংস ছাড়ার আগে তারা করে ২ উইকেটে ২৫৮ রান। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে থমকে যাওয়া বাংলাদেশকে এই ম্যাচ জিততে হলে তাই করতে হবে ৫১৩ রান, গড়তে হবে বিশ্ব রেকর্ড। ম্যাচ বাঁচাতে টিকে থাকতে হবে দুই দিনেরও বেশি সময়। দুই কাজই প্রায় অসম্ভব।
বিশাল লিড নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমান গিল ও চেতশ্বর পূজারার জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারত এত বড় সংগ্রহ পায়। ১৫২ বলে ১১০ করে আউট হন গিল। ১৯তম সেঞ্চুরির দিনে ১৩০ বলে ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন পূজারা।
শুক্রবার ৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে নেমে আর ৪৮ মিনিট টিকতে পারে বাংলাদেশ। ১৫০ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়লেও ভারত নিজেরাই আবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
লাঞ্চের আগে তারা ছুটেছে মন্থর গতিতে। প্রথম ১৫ ওভার ব্যাট করে লোকেশ রাহুল ও গিল তুলেন স্রেফ ৩৬ রান।
সতর্ক শুরুর এই মন্থর গতি লাঞ্চের পর ঝেড়ে ফেলেন তারা। বাড়তে থাকে রানের গতি। ২৩তম ওভারে ৭০ রানের জুটির পর বিদায় নেন রাহুল। খালেদ আহমেদের বলে পুল করে উড়াতে গিয়ে ফাইন লেগে তাইজুল ইসলামের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি (৬২ বলে ২৩)।
গিল নিতে থাকেন অথরিটি, বের করতে থাকেন একের পর বাউন্ডারি। কাঁধের চোটে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এদিনও কেবল ফিল্ডিং করেছেন, বল করতে আসেননি একবারও। তার শরীরী ভাষাও দেখাচ্ছিল বেশ দুর্বল। পেসার ইবাদত হোসেন ব্যাট করলেও দ্বিতীয় দিনের প্রথম স্পেলের পর আর বল করেননি। এদিন মাঠেও দেখা যায়নি তাকে।
নিয়মিত দুই বোলারের অনুপস্থিতিতে ইয়াসির আলি রাব্বিকে, নাজমুল হোসেন শান্ত এমনকি লিটন দাসও বল করেছেন দুই ওভার। গা ছেড়ে দেয়া বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের ইনিংস ঘোষণার অপেক্ষা ছাড়া তেমন কিছু খোঁজে পাচ্ছিল না।
পূজারাও দিনের শেষ সেশনে তুলেন ঝড়। প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন ৮৭ বলে। পরের ৫০ করতে তার লাগে কেবল ৪৩ বল।
Leave a Reply