তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীর মেয়র ইকরাম ইমামোগ্লুকে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে ‘রাজনৈতিকভাবে’ নিষিদ্ধও করা হয়েছে। তুর্কি কর্মকর্তাদের অপমান করার অভিযোগে তুরস্কের একটি আদালত বুধবার তাকে এই শাস্তি দিয়েছে। বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) সদস্য ইমামোগ্লুকে দুই বছর সাত মাস ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এই শাস্তি বহাল থাকলে তিনি রাজনৈতিক কোনো পদে থাকতে পারবেন না, ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াও হবে না এই জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের।
এই রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য তিনি আপিল করতে পারবেন।
অবশ্য আপিলের ফলাফল যাই হোক না কেন, তিনি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে একই অপরাধ আর না করলে তিনি কারাগারে যাওয়া থেকে এড়াতে পারবেন। আর পক্ষে গেলে তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে তার মেয়াদ শেষ করতে পারবেন। রায়ের পর ইমামোগ্লু এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন দেখছি না। আবারো দেখা গেল যে রাজনীতিই নিয়ন্ত্রণ করছে বিচার বিভাগকে।’
তার ২০১৯ সালের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই সাজা দেয়া হয়। ওই বছরের ৩১ মার্চ মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর তিনি ওই বক্তব্য রেখেছিলেন।
ক্ষমতাসীন জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) অনিয়মের অভিযোগ করলে ফলাফল বাতিল করা হয়। তবে পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেখা যায়, আগে যারা তাকে ভোট দেয়নি, এবার তারাও তাকে ভোট দিয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘যারা ৩১ মার্চের নির্বাচন বাতিল করেছে, তারা মূর্খ।’
আঙ্কারার মেয়র (তিনি সিএইচপির সদস্য) মনসুর ইয়াভাস বলেন, ‘এই রায় বিচার ও আইনের সাথে সম্পর্কহীন।’
ইমামোগ্লু ও ইয়াভাসকে আগামী বছরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হচ্ছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
Leave a Reply