চীনের একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। চীন সরকারের কঠোর করোনা দমন কৌশল পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানানোর প্রাক্কালে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমে রোববার এই তথ্য জানানো হয়।
শীর্ষ মহামারী বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমে রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জানান, চীনে ওমিক্রন ধরনের ভাইরাসের প্রকোপ বেশি। এটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।
পুরো মহামারীর সময় জুড়ে সরকারের শীর্ষস্থানীয় পরামর্শকের ভূমিকা পালনকারী ঝং আরো বলেন, (বর্তমানে কার্যকর) ওমিক্রন মিউটেশন…অত্যন্ত সংক্রামক…একজন ব্যক্তি আরো ২২ জনের মাঝে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারেন।
বর্তমানে, চীনের মহামারী খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সংক্রমণের ধারাকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা খুবই ঝামেলাপ্রদ হবে।
দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর চীনের তথাকথিত ‘শূন্য-কোভিড’ নীতি শিথিল করা হয়েছে। এই কঠোর নীতির কারণে দেশটির অর্থনীতির ওপর বড় আকারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরে আটকে থাকতে বাধ্য হয়েছে।
তবে এখন দেশটিতে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করার জন্য চীনের প্রস্তুতি একেবারে নেই বললেই চলে। লাখ লাখ বয়োবৃদ্ধ মানুষ এখনো পুরোপুরি ভ্যাকসিনের আওতায় আসেননি। তহবিলের অভাবে অনেক হাসপাতাল বড় সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দেয়ার সক্ষমতার অভাবে ভুগছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক শাও ইয়াহুই শুক্রবার সতর্ক করেন, চীনে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি নিবিড় পরিচর্যা শয্যা রয়েছে।
সরকারের নিয়মিত গণ-পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পর থেকে চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। শুধু স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও ডেলিভারি চালকদের ক্ষেত্রে গণ-পরীক্ষার নীতি এখনো চালু আছে।
Leave a Reply