শরীরে দুটি অণ্ডকোষ থাকে, যা সংবেদনশীল। এ ব্যথা হতে পারে তীব্র। ব্যথা আঘাতের কারণে হতে পারে। ব্যথার সঙ্গে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে। তাতে রোগীর বমি বমি ভাব কিংবা বমি হতে পারে। জ্বর আসতে পারে। অণ্ডথলিতে ব্যথার সঙ্গে অণ্ডথলিতে চাকা, ত্বক লাল, প্রস্রাবে রক্ত, মূত্রনালি পথে অস্বাভাবিক নিঃসরণ দেখা দিতে পারে। ফুলে যেতে পারে গলা।
এ ছাড়াও নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে বন্ধ্যত্ব ও পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে। অণ্ডকোষের ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি থাকতে পারে। অনেক সময় রোগীর অপারেশন করে অণ্ডকোষ ফেলে দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।
অনেক সময় অণ্ডকোষের ব্যথার উৎস অণ্ডকোষ নয়, ব্যথা শুরু হয় অণ্ডথলি এলাকায়। এ রোগের কারণে নানা ধরনের জটিলতাও দেখা দিতে পারে। যেমন-অর্কাইটিসের কারণে পুরুষ ব্যক্তিটি প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে এবং এক বা দুটি অণ্ডকোষই ছোট হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া অণ্ডথলিতে ফোড়া হওয়া, অণ্ডকোষে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া, অণ্ডথলির ত্বকে ফিস্টুলা হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হতে পারে। অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে দ্রুত অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। যদি অণ্ডথলি বা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, তা হলে দ্রত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
Leave a Reply