1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!

চাল-ডাল-তেলের দামে অস্বস্তি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

করোনা মহামারীর প্রকোপ কমলেও মানুষের আর্থিক চাপ বাড়ছে। কারণ বাজারের জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। চাল, ডাল, তেলের মতো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের খরচও কুলিয়ে উঠতে পারছে না ভোক্তারা। বিপদের সহায় তরিতরকারি ও শাকপাতা-সেগুলো কিনতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। একে একে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও স্বল্পআয়ের মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠী।

আমনের ভালো ফলনেও উত্তাপ কমেনি চালের বাজারে। মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত থাকলেও চিকন চালের দাম ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে এখন প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। নাজিরশাইল চাল কিনতে মানভেদে খরচ করতে হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭৪ টাকা পর্যন্ত। মোটা চাল হিসেবে পরিচিত গুটি স্বর্ণার কেজি এখন ৫০ টাকা। বাজারভেদে কোথাও কোথাও দুই টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। অপরদিকে পাইজাম ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজিতে।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে আমন চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টন। সেখানে ১ কোটি ৫৫ লাখ টনেরও বেশি উৎপাদন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ লাখ টন বেশি উৎপাদনের পরেও বাজারে তার সুফল ভোগ করতে পারছে না ভোক্তারা। চাল আমদানিতেও দাম কমেনি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আমাদের সময়কে বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে দাম বেঁধে কিংবা মোবাইলকোর্ট-জরিমানা করে লাভ হবে না। আমাদের সরবরাহ ঠিক করতে হবে আগে। তা হলে দাম আপনাআপনিই স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকবে। আমাদের কাছে পণ্যের উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহের প্রকৃত তথ্য কিংবা পরিসংখ্যান নেই। সরকারের হিসাবেও ত্রুটি রয়েছে। আগে আমাদের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান থাকতে হবে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানিই না যে আমাদের উৎপাদন কত, মজুদ কত এবং কি পরিমাণ সরবরাহ হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো রশিদ কিংবা হিসাব দিতে পারছেন না। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বেশি রাখছেন।

বাজারে ভোক্তার মাথাব্যথার আরেক কারণ ভোজ্যতেলের দাম। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৮ টাকা পর্যন্ত। মহামারির শুরুতেও যা পাওয়া গেছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে লিটারে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) শুক্রবারের হালনাগাদ তথ্যও বলছে, খোলা সয়াবিনের দাম মাসের ব্যবধানে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে ৪১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, লুজ তেলের দামও এখন বোতলের তেলের দামের সমান হয়ে গেছে। চাল-ডালের দামও নাগালে নেই। এত খরচের বোঝা নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব বুঝে উঠতে পারি না। ব্যবসায়ীরা আমাদের জিম্মি করে যেভাবে খুশি লাভ করছেন। মাসদুয়েক ধরে মশুর ডালের বাজারও চড়া। নতুন করে দাম না বাড়লেও আগের মতো প্রতিকেজি বড় দানার মশুর ডাল ১০০ টাকা এবং ছোট দানার মশুর ১১৫ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে ৬৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে মশুর ডাল কেনা গেছে।

বাজারে খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় এবং প্যাকেট চিনি প্রতিকেজি ৮৫ টাকা। আড়াই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের কেজিতে দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে শীত এসে চলে যাওয়ার উপক্রম হলেও সবজির বাজারে তার কোন প্রভাব চোখে পড়েনি। এবারের শীতে বাড়তি দামেই কিনে খেতে হচ্ছে তরিতরকারি ও শাকপাতা। রাজধানীর বাজারে এখনো বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার উপরে।

বাজারে বেগুনের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও করলা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৫০ টাকা এবং পাতাকপি ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শালগমের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, গাজর ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক পিস লাউ কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। শাকপাতার দামও অন্যান্য বছরের এই সময়ের তুলনায় বাড়তি রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

রাজধানীতে সবজি সরবরাহকারী কারওয়ান বাজারের পাইকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী বলরাম চন্দ্র আমাদের সময়কে বলেন, সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু রাজধানীতে সবজি আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ায় এমনটা হয়েছে। তাই এবার শীতে দাম বেশি রয়েছে। তাছাড়া মাঝে অসময়ে কয়েক দফা বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে প্রায় সময় কিছু সবজির দাম বাড়তি ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com