তিন শতাধিক নাম যাচাই-বাছাই করে ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে সার্চ কমিটি। গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে এই কাটছাঁট করা হয়। রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপনের জন্য ১০ জনের তালিকা করতে আজ রবিবার বিকালে ফের বসছে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন কমিটি। সেখান থেকেই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৫ জনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
গতকাল বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, সভায় আইনে বর্ণিত যোগ্যতা অনুসারে প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে ২০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। আগামী দু-একটি সভায় চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হবে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কমিটি আবারও বসবে। ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা কখন পাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরও দু-একটা মিটিং হবে। এরপর সব আপনারা জানতে পারবেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে দেওয়ার পর তারা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বসেছেন ৪ দফা। নিজেদের মধ্যে পাঁচ দফা বৈঠক করেছেন। গতকাল আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় ৩২২ জনের নামের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশও করা হয়েছে। ওই তালিকায় অধিকাংশই ছিলেন অধ্যাপক, বিচারপতি, সাবেক সচিব ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। তবে সেখান থেকেই যে ১০ জনের তালিকা করতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। কমিটি নিজস্ব বিবেচনা থেকেও তালিকা চূড়ান্ত করতে পারে। আইনে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে সার্চ কমিটি।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তার তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে; কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় পদে অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
Leave a Reply