রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রাস্তা আগে পার হওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের র্যালি থেকে ফেরার পথে এ ঘটনায় নিহত মেহেদী হাসান (১৭) ভাটারার ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লিপি শিকদারের ছেলে।
নিহত মেহেদীর বাসা ভাটারার নুরের চালা এলাকায়। সে এবার ভাটারার সোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার বাবা আবু হানিফ বাসাবাড়িতে ডেকোরেশনের কাজ করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী ছিল বড়।
মেহেদীর মামা মোহাম্মদ চয়ন মিয়া যুগান্তরকে বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগের র্যালি কর্মসূচি ছিল। এতে যোগ দিতে দুপুর আড়াইটার দিকে তারা তিনটি বাসে নেতাকর্মীদের নিয়ে বাড্ডা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে যান। ধানমন্ডিতে র্যালি শেষে নূরের চালা থেকে আসা নেতাকর্মীরা হেঁটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে পিকআপ ভ্যানে চড়ে র্যালিতে যোগ দিতে আসা একদল নেতাকর্মীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় পিকঅ্যাপ থেকে দুজনে এসে একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে গেলে মেহেদী বাধা দেয়। পরে তারা তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চয়ন আরও বলেন, তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (নুরের চালা এলাকা) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মেহেদী তার সঙ্গেই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে এসেছিল। তুচ্ছ ঘটনার জেরে মেহেদীকে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে তাদেরকে তিনি চিনতে পারেননি।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মুহঃ আহাদ আলী যুগান্তরকে বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply