নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীতে লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে ডুবে গেছে একটি বালুবাহী নৌযান। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে দারুল মাকাম-৩ নামের ওই বাল্কহেডের লস্কর মোতালেব মিজি (৫৫) নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও নৌ পুলিশের এসআই লুৎফর রহমান ।
এদিকে, দুর্ঘটনায় লঞ্চের সামনের অংশও দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ছিদ্র দেখা দেয়। পাঁচ শতাধিক যাত্রীসহ লঞ্চটিকে প্রথমে তীরে নোঙ্গর করা হয়। পরে ঢাকা সদরঘাট থেকে কীর্তনখোলা-১০ নামের আরেকটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যে রওনা হয়।
এসআই লুৎফর জানান, চাঁদপুর থেকে ডেমরাগামী বালুবাহী নৌযানে ছয়জন কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে সুকানি সবুজ (৩২), গ্রিজার মো. আক্তার (১৮), বাবুর্চি আব্দুল খালেক (৬৫) ও লস্কর ইমরান (২০) দুর্ঘটনার পর তীরে উঠতে সক্ষম হন। তারা এখন কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে আছেন। তবে লস্কর মো. হৃদয় (১৮) একটি লঞ্চে উঠে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. জহিরুল হক জানান, নিখোঁজ লস্কর মোহাম্মদ মোতালেব ভোলার ঢুলারহাটের নুরাবাদ গ্রামের রফিজুল হক মিজির ছেলে। অন্যদিকে, সংঘর্ষের পর মোতালেব ট্রলারের ভেতরে আটকা পড়ে যাওয়ায় আর বের হতে পারেনি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন সুকানি সবুজ।
নৌ পুলিশ বলছে, ডুবে যাওয়া দারুল মাকাম-৩ বাল্কহেডের মালিক ডেমরা এলাকার মোহাম্মদ সুমন নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ তার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে।
Leave a Reply