নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচনী প্রচারণায় চালানোর সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামপুর ইউনিয়নের বামনি বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন, এসআই মো. আবদুল আউয়াল সুমন, মো. আবদুল মোমেন, কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন, মো. তানভীর আহাম্মেদ, উথোয়াই চিং রোয়াজা ও বিধান দেবনাথ। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বসুরহাট একটি কুলখানি অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের মির্জার হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন রামপুর ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনছার উল্যা। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বামনি বাজারে ঝাড়ু মিছিল করেন কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ভাগ্নে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থক ও স্থানীয়রা। পরে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাশিকের নেতৃত্বে তাদের প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করে। মিছিলটি স্কুল গেটে আসলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ১১ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মেয়র মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাশিক রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিলকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
উল্লেখ, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের আটটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় কোনো পক্ষকেই নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি।
এদিকে, ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজিত হচ্ছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচনী পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর তিন ভাগ্নে ও মেয়র কাদের মির্জার তিন প্রার্থীর ইউনিয়নগুলোর মধ্যে প্রায়শই ঘটছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
Leave a Reply