ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরস্পরকে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ফোনে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা হয়। এ সময় বাইডেন বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও হাঁশিয়ারি দেন তিনি।
অবশ্য পুতিনও এ ব্যাপারে ছেড়ে কথা বলেননি। বাইডেনের এই কথার জবাবে পুতিন বলেন, এ রকম কিছু করলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা হবে বড়ো ভুল। এটার কারণে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুরে তাদের আলাপচারিতা শুরু হয়। সেই সময় রাশিয়ার মধ্যরাত বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরে মস্কোপন্থী বিদ্রোহী ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। ইউক্রেন ইস্যু প্রভাব ফেলেছে মস্কো-ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কে। সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ তুলেছেন পুতিন। এদিকে রুশ হামলা ঠেকাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেন্সকির সঙ্গে ইতিমধ্য়েই ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর সরকার প্রধানের সঙ্গেও ফোনে আলোচনা করেছেন তিনি।
এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ফোনে কথা বললেন এই দুই নেতা। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে পুতিনকে ফোন করেছিলেন বাইডেন। ইউক্রেনে মস্কো কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ইউক্রেন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বাইডেন জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের পাশেই আছে। রাশিয়াও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়ে দাবি তুলেছে ইউক্রেনকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হবে না।
এই পরিস্থিতিতে সেই বৈরিতার পথেই যেন ফের হাঁটতে শুরু করেছে ওয়াশিংটন ও মস্কো। বাইডেন-পুতিনের ফোনালাপ সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
Leave a Reply