ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শনিবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমপক্ষে আটজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অ্যাকাউন্টিং এবং ইনফরমেশন সিস্টেমের শিক্ষার্থী হিমেল চাকমা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও শাহজালাল ইসলাম সোহাগের মধ্যে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আরাফাতের সমর্থক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন এবং সোহাগের সমর্থক মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জেবিয়ার রহমান রাত ৯টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান হলে তর্কে লিপ্ত হন। পরে হলের মসজিদের সামনে দুপক্ষের সমর্থকরা লাঠি, হাতুড়ি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরে মারামারিতে লিপ্ত হয় এবং এতে উভয় দলের আটজন কর্মীকে আহত হয়।
তারা জিয়াউর রহমান হলে কামালের রুমেও ভাঙচুর চালায়। আহত কিছু শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হিমেলর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবেছিলাম। ভুলটির জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।’
তবে জেবিয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কামাল ও তার পক্ষকে মারধর করার অভিযোগ আনেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে যাই। তদন্তের পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ তিনি বলেন। সূত্র : ইউএনবি।
Leave a Reply