চীনে মঙ্গলবার আরো ১৩৬ মারা যাওয়ার পর করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার ২ হাজার ৪ জনে গিয়ে দাঁড়াল। চীনের স্বাস্থ্য কমিশন বুধবার এতথ্য জানায়।
নিহত ১৩৬ জনের মধ্যে ১৩২ জনই হুবেই প্রদেশের যেখান থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি বলে ধরে নেয়া হয়। এছাড়াও নতুন করে ১ হাজার ৭৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৯৩ জনই হুবেই প্রদেশের। বর্তমানে দেশটিতে ৭৪ হাজার ১৮৫ জনের শরীরের এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতারেস বলেছেন, কোভিড-১৯ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে শুরু হয়েছে। যদিও এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি কিন্তু এর ফলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে দাঁয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ৪৪ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির বিস্তারিত নিয়ে একটি জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, বলা হচ্ছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই এই রোগ নিয়ে বৃহত্তম জরিপ।
চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টেশন এর তথ্যে বলা হচ্ছে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগী স্বল্প ঝুঁকিতে আছেন। যারা বেশি ঝুঁকিতে, তাদের মধ্যে বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে অসুস্থ থাকা ব্যক্তিরা রয়েছেন।
গবেষণা আরো বলছে মেডিকেল কর্মকর্তা যারা রয়েছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। মঙ্গলবার উহানের একটা হাসপাতালের পরিচালক মারা গেলে মেডিকেল কর্মকর্তারা যে কতটা ঝুঁকিতে রয়েছেন সেটা আবারো আলোচনায় আসে। ৫১ বছর বয়সী লিউ ঝিমিং ছিলেন উহানের সবচেয়ে ভালো হাসপাতালগুলোর একটির পরিচালক। এ পর্যন্ত যে কয়জন স্বাস্থ্য কর্মী মারা গেছেন লিউ ঝিমিং তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। হুবেই প্রদেশের উহান শহরটি দেশটির মধ্যে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়া একটা শহর।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টেশন বা সিসিডিসি এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এই প্রদেশে মৃত্যুহার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। যেখানে সারা দেশে এই হার শূন্য দশমিক চার শতাংশ।
Leave a Reply