1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

অবশেষে যুদ্ধবিরতীতে গেল হামাস-ইসরায়েল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১

মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইহুদি দেশ ইসরায়েল। টানা ১১ দিন গাজায় সহিংসতা চালানোর পর ইহুদি রাষ্ট্রটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দল, গাজা, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতিতে রাজি। খবর বিবিসির।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে- মিশরের প্রস্তাবে আমরা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। এই যুদ্ধবিরতি হবে পারিস্পরিক ও নিঃশর্ত।

এর আগে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির জন্য ইহুদি রাষ্ট্রটির ওপর চাপও বাড়ছিল।

হামাস বলেছে, আল-আকসা ও জেরুজালেমের শেখ জারায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি পেয়ে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান মিসরকে জানিয়েছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে মিসর। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রিগেভ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট শর্তেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। সে শর্তে তেলআবিব ও জেরুজালেমে হামলা বন্ধ করতে হবে হামাসকে। গাজা থেকে রকেট হামলার কারণে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

বিরতীর ঘোষণা দেওয়ার আগে গত রাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। অর্থাৎ আজ শুক্রবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে বৃহস্পতিবার। ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে মানবিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করায় বিশ্বের পরাশক্তিগুলো উভয়পক্ষকে যুদ্ধে বিরতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, গাজার ৫০টি স্কুল ধ্বংস করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলজীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

২০১৪ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। গাজায় সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শিশু এবং ৩৬ নারী আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১২ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com