রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার টিকা সংগ্রহের যে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করে এই উৎসগুলো থেকে টিকা পেতে ন্যূনতম দুই সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের উদ্যোগে ৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর মজুদ গড়ে তোলা হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে দেশগুলো এ মজুদ থেকে চিকিৎসাসামগ্রী নিতে পারে। এছাড়া কোভিড–পরবর্তী দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদে ব্যবসা বাড়াতে ই-কমার্স সম্প্রসারণের কর্মসূচি নেওয়া হবে, যাতে গ্রামের লোকের ব্যবসাও ভালো থাকে। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ তাদের উদ্যোগে ভারতকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের প্রস্তাবিত জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর মজুদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। এগুলো পরে চূড়ান্ত হবে। তবে বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে যে টিকার দরকার, সেটি বলেছে। অক্সিজেনসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রয়োজনীয় সামগ্রী হতে পারে। এগুলো থাকাটা জরুরি। শুধু টিকা নয়।’
বাংলাদেশে জরুরিভিত্তিতে টিকার দরকার উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে যে টিকা নিতাম, সেটা এখন বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। এ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছি। তারই অংশ হিসেবে চীনকে টিকা সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়েছি। তারা এ জন্য আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।’
চীন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে টিকা দিচ্ছে। এর বাইরে টিকা নেওয়া হবে কি না এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এসব পেলে অনুমোদন দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, উপহারের পাশাপাশি চীনের কাছ থেকে কিছু টিকা কিনতে হবে। সেটা আমরা চীনের সঙ্গে আলোচনা করছি।’ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংইয়ের সভাপতিত্বে আজ দুপুরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন।
Leave a Reply