সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিশ্বজুড়ে চীনের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে। ফলে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হচ্ছে দেশটিকে। এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাজ্যের একজন কবি ও শিক্ষাবিদ জানিয়েছেন, চীন সরকার গোটা উইঘুর জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসীকরণ করছে এবং তাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় মুছে ফেলছে।
এসওএএস উইনিভার্সিটি অব লন্ডনের গবেষক আজিজ ইসা ইলকুন চীনা কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুরতার বিবরণ দেওয়ার সময় দাবি করেন, ‘উইঘুরস্তান’ নামে পরিচিত তাদের বাসস্থানের জমিগুলো ১৯৪৯ সাল থেকেই দখল এবং উপনিবেশকরণ শুরু হলেও তা মূলত ২০১৭ সালে গণমাধ্যমের নজরে আসে।’
আজিজ বলেন, ‘আমি আমার বাবার কবর ধ্বংস করা প্রসঙ্গে সিএনএনকে সাক্ষাতকার দেওয়ার পর এই গণমাধ্যমটি গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমাকে বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। এরপর বহুবছর নিজের মা এবং বোনকে দেখতে পারিনি, কথাও বলতে পারিনি।’
গত তিন বছরে উইঘুরদের প্রায় সবগুলো মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করে ফেলেছে চীন। মূলত উইঘুর সম্প্রদায়ের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় মুছে ফেলতেই এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসী এমন অভিযোগ তুলে বন্দী-শিবিরগুলোয় উইঘুরদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও অত্যাচার করা হয়। চীন সরকার এভাবে গোটা উইঘুর জনগোষ্ঠীকেই সন্ত্রাসীকরণ করছে। কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরে, মুখে দাড়ি রাখে অথবা কোন নারী যদি বোরখা ব্যবহার করে তাহলে সে কর্তৃপক্ষের নিশানায় পরিণত হয়। দীর্ঘকারাবাস এবং নৃশংস নির্যাতনের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয় তাদের।’
উইঘুর সম্প্রদায়রকে রক্ষা করা এবং চীনের নির্যাতন থেকে তাদের বাঁচানো এখন পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইরানসহ মুসলিম দেশগুলোকে উইঘুরদের পাশে থাকার আহবান জানাচ্ছি।’
আজিজ আরও বলেন, ‘উইঘুরদের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালনার জন্য চীনকে অবশ্যই বিচারের সামনে দাঁড় করাতে হবে।’
সূত্র: এএনআই
Leave a Reply