1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকরা এক হচ্ছেন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১

করোনার কারণে ইউরোপ, আমেরিকায় পোশাক বিক্রি কমে গেছে। এখনো অনেক দেশে লকডাউনসহ কড়াকড়ি থাকায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকরা অর্ডার কম পাচ্ছেন। আবার মহামারীর জন্য বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে নানা ধরনের দেনদরবারে যাচ্ছে। কেউ অর্ডার কমানোর দাবি জানাচ্ছে, আবার কেউ দেরি করে পেমেন্ট করতে চাইছে।

এসব দাবি না মানলে ব্র্যান্ডগুলো অন্য দেশের অন্য কোনো কোম্পানির কাছে চলে যাওয়ারও হুমকি দিচ্ছে। ফলে ব্যবসা হারানোর আশঙ্কায় দাবি মানতে বাধ্য হচ্ছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। ঢাকার এক পোশাক প্রস্তুতকারক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ক্রেতারা অর্ডার কমানোর কথা বলছে, পেমেন্ট দিতে দেরি করতে চাইছে। আমি যদি এতে রাজি না হই, তারা অন্যের কাছে চলে যাবে।

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশসহ নয় দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকরা এক হয়ে নিজেদের মধ্যে একটি নীতিমালা বা চুক্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া ডকুমেন্টও প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ সেটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হতে পারে। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, তুরস্ক, মরক্কো ও ইন্দোনেশিয়ার ১৩টি পোশাক সংগঠন এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে। জার্মানির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেডের অর্থায়নে পরিচালিত এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংস্থা স্টার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগ এটি।

রয়টার্স চুক্তির খসড়াটি দেখেছে। এর মধ্যে আছে পোশাক তৈরি ও বিক্রির আলোচনায় কিছু মিনিমাম শর্ত মেনে চলা, সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে পেমেন্ট পাওয়ার দাবি করা, অর্ডার চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর ডিসকাউন্টের সুযোগ দেওয়ার রীতি বন্ধ করা ইত্যাদি। স্টার নেটওয়ার্কের মুখপাত্র মিরন আলী বলছেন, আমরা এতদিন ক্রেতাদের অন্ধভাবে বিশ্বাস করতাম। যদি তারা বলত, আমাদের কাছ থেকে তারা এক লাখ

গজ কাপড় কিনতে চায়, কিন্তু আনুষ্ঠানিক অর্ডারটা তিন সপ্তাহ পর দিতে চায়, তা হলেই আমরা কাজ শুরু করে দিতাম। কিন্তু বর্তমানে সেই বিশ্বাসটা হারিয়ে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পোশাক প্রস্তুতকারকদের নতুন এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, পোশাক প্রস্তুতকারকরা তাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি বুঝতে পারছেন। এ ক্ষেত্রে এক হয়ে তাদের শক্ত ভূমিকায় যেতে হবে বলে মনে করছেন তারা। এই নীতিমালা বা চুক্তির পরবর্তী ধাপে ক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া দুঃখ-দুর্দশার সমাধানের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সালিশ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com