মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে এক মাস চলমান বিক্ষোভে সেনা শাসকদের অপসারণের দাবিতে ধর্মঘট চলছে দেশটিতে। সোমবার ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা এই ধর্মঘট দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে।
এর আগে রোববার মিয়ানমারের ১৮ শ্রমিক সংগঠন যুক্তভাবে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সব ধরনের কাজ বন্ধ করে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানায়।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এখনই সময় আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার। কেউ মিয়ানমারের নাগরিকদের জোর করে কাজ করাতে পারবে না। আমরা সামরিক জান্তার গোলাম না এবং কখনোই হবো না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা গুলি ও স্টান গ্রেনেডের বিকট আওয়াজ শুনেছেন।
সরকারি ভবনগুলোতে নিরাপত্তা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, দেশটির হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শৃঙ্খলা রক্ষার উদ্দেশ্যে উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় দেশটিতে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে অভ্যুত্থানের পর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।
সূত্র : আলজাজিরা
Leave a Reply