মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন দেশটির শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ। সেই বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীদের প্রতি কঠোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে তার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে দেশটির সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে ফোন করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এ সতর্ক করেন বলে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
গত রোববার রাতে মিয়ানমারের প্রধান শহরগুলোতে সাঁজোয়া যান ও সেনা মোতায়েন করা হয়। তা সত্ত্বেও অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে ও কারাবন্দী নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদকারীরা গতকাল সোমবার ফের বিক্ষোভ করেন। তবে আগের দিনগুলোতে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে এলেও এদিন তাদের সংখ্যা কম ছিল।
গতকাল সোমবারই জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার বার্জেনার সামরিক জান্তার উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থার রয়টার্স জানিয়েছে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অধিকারকে যেন অবশ্যই পুরোপুরি সম্মান করা হয় এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতিহিংসার শিকার যেন না করা হয় তা নিশ্চিত করতে চাপ দেন শানার বার্জেনার।’
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কঠোর কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
বার্জেনার সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখা নিয়েও সতর্ক করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দ্বিতীয় রাতের মতো ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষ, এতে অভ্যুত্থান বিরোধীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে যায়।
স্থানীয় অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার গোষ্ঠী জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের দিন পর থেকে থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৪২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply