ফিলিস্তিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ফাতাহ ও হামাস আসন্ন আইন পরিষদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে একমত হয়েছে। মঙ্গলবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে দুই দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে এক বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঐক্যমতে পৌঁছার কথা জানায় উভয়পক্ষ।
নির্বাচন তদারকের জন্য ‘নির্বাচনী আদালত’ গঠন এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উভয়পক্ষের স্বাধীন প্রচারণা ও ভোটের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ফাতাহ ও হামাস প্রতিনিধিরা।
উভয়পক্ষের মধ্যে দুই দিনের আলোচনার পর এই যৌথ বিবৃতি এলো। আলোচনায় ফাতাহ ও হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের আরো ১২টি রাজনৈতিক সংগঠন অংশ নেয়।
আলোচনায় সব পক্ষই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ‘নির্ধারিত সময় মানা’ এবং নির্বাচনের যে ফলই আসুক, তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তা মেনে নেয়ায় সম্মত হয়েছে।
আগামী ২২ মে ফিলিস্তিনের আইন পরিষদের এবং ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন তদারকে নির্বাচনী আদালত পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুসালেমের বিচারকদের নিয়ে গঠন করা হবে। নির্বাচন বিষয়ে যেকোনো আইনি মতভেদে তারা মীমাংসা করবেন।
এতে বলা হয়, ‘এই আদালত নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ফলাফল এবং এই সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তদারকে দায়িত্বশীল থাকবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শুধু ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। অন্য কারোরই সেখানে থাকার অনুমতি থাকবে না। আইন অনুসারেই পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া রাজনৈতিক কারণে পশ্চিম তীর ও গাজায় বন্দীদের মুক্তি দিতে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।
অধিকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে মোট ২৮ লাখ ফিলিস্তিনি ভোটার রয়েছেন।
এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের আইন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিস্ময়কর বিজয়ের পর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ফাতাহ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে। দুই দলের মতবিরোধ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক কর্মীদের বের করে দিয়ে ফাতাহ পশ্চিম তীর ও হামাস গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
সূত্র : আলজাজিরা
Leave a Reply