গলায় টাই না পরায় নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট থেকে এক সংসদ সদস্যকে (এমপি) বহিষ্কার করেছেন স্পিকার। রাউইরি ওয়াইতিতি নামে ওই এমপি আদিবাসী অধিকার নিয়ে সোচ্চার রাজনৈতিক দল মাওরি পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা। আজ মঙ্গলবার এ খবর জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে পুরুষ এমপিদের টাই পরা বাধ্যতামূলক। টাই না পরে পার্লামেন্টের ডিবেটিং চেম্বারে কোনো এমপি প্রশ্ন করতে পারবে না। ফলে টাই না পরায় ওয়াইতিতিকে দুইবার প্রশ্ন করতে বাধা দেন স্পিকার ট্রেভর ম্যালার্ড।
দ্বিতীয়বার বাধা পাওয়ার পরও প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন এই এমপি। এরপর স্পিকার ম্যালার্ড তাকে চেম্বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। স্পিকারের এমন আচরণকে ‘আপত্তিকর’ বলেন ওয়াইতিতি।
চেম্বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উত্তেজিত ওয়াইতিতি বলেন, ‘এটি টাইয়ের বিষয় না, সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রশ্ন। টাইয়ের পরিবর্তে সবুজ পাথরের কানের দুল পরে এসেছিলেন ওয়াইতিতি। টাইকে তিনি “ঔপনিবেশিক ফাঁস” বলে বর্ণনা করেন।’
মাওরি পার্টির আরেক প্রতিষ্ঠাতা দেবি এনগারেওয়া-প্যাকার যিনি নিজেই টাই পরেছিলেন, ওয়াইতিতির পক্ষে সুপারিশ করলে তা আমলে নেননি স্পিকার।
এর আগেও, পার্লামেন্টে টাই পরা নিয়ে মাওরি পার্টির নেতার সঙ্গে স্পিকার বিবাদ হয়। টাই না পরলে তাকে বহিষ্কার করা হবে বলে গত বছর সতর্কতা দেওয়া হয়।
পার্লামেন্টে প্রথম বক্তব্যে ওয়াইতিতি বলেছিলেন, ‘আমার গলার কাছে এই ফাঁস (টাই) নিয়ে নাও, যাতে আমি আমার গান গাইতে পারি।’
নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে পুরুষ এমপিদের টাই পরা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম নিয়ে আগেও আপত্তি উঠলে স্পিকার ম্যালার্ড জানান, নিয়ম পরিবর্তনের প্রস্তাবকে তিনি সমর্থন করেন। কিন্তু অধিকাংশ এমপিরা তার পক্ষে নাই। ফলে এ নিয়ম বাধ্যতামূলক থাকছে পার্লামেন্টে।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জানান, মানুষ টাই পরতে না চাইলে, এ নিয়ে তার আপত্তি নেই। কিন্তু মনোযোগ দেওয়ার জন্য এর চেয়েও বড় বিষয় আছে।
Leave a Reply