ছিল রুমাল। হয়ে গেল ভাইরাসের আঁতুড়ঘর। আলনায় পড়ে থাকা চারকোণা কাপড়টায় লুকিয়ে নেই তো ভাইরাসের জীবাণু? করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এখন ওই একখণ্ড কাপড় ব্যবহারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন চিকিৎসকরা।
শীত চলে যাওয়ার এই সময়টায় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। কোনটা যে নিরীহ ঠান্ডা লাগা, আবার কোনটায় যে লুকিয়ে রয়েছে করোনার কাঁটা? টেস্ট না করলে তা বোঝা সম্ভব নয়। তবে আপাতভাবে ছোঁয়াচে অসুখ ঠেকাতে চিকিৎসকরা বলছেন, সবার আগে নাক ঝাড়ার রুমাল ব্যবহার বন্ধ করতে। ঘনঘন সর্দি এবং কাশি হলেই কফ উঠে আসা, সাথে জ্বর এসবই করোনা ভাইরাসের উপসর্গ। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, সর্দিকাশির পর রুমালে নাক ঝেড়ে অনেকেই তা রেখে দেন। সে রুমালে লেগে থাকে জীবাণু। ওই রুমাল ভুলবশত কেউ ব্যবহার করলে তার থেকেই ছড়াতে পারে অসুখ। এর চেয়ে ন্যাপকিন ব্যবহার করা অনেক নিরাপদ। একবার ব্যবহার করেই তা ফেলে দেয়া যায়।
দেখা হলেই হ্যান্ডশেক কিংবা গালে গাল ঠেকিয়ে অভিনন্দন চুম্বন-আপাতত এই ধরনের পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে বিপজ্জনক বলছেন চিকিৎসকরা। বিদেশি এই আচার-ব্যবহারই করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। একই সাথে বাঙালি সংস্কৃতিতে করোনা ঠেকানোর দাওয়াই রয়েছে বলছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, হাত যতটা সম্ভব পরিস্কার রাখা যায় ততই দূরে সরিয়ে রাখা যাবে ছোঁয়াচে ভাইরাসকে।
Leave a Reply