ভোলার চরফ্যাশনে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর মুখে সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা আজ শুক্রবার দুই যুবককে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন, উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামের বেলায়েত হোসেন ও হানিফ মাঝি। ভুক্তভোগী ছাত্রীর নাম সালমা আক্তার। তিনি চরফ্যাশনের রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজে পড়েন।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ঘরে টেবিলে বসে পড়ছিলেন ছালমা। ঘরে টিনের ঘরের জানালা আটকানোই ছিল। হঠাৎ ছিদ্র দিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে মুখমণ্ডলে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। বাড়ির লোকজন এসে মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মুখে ক্ষত নিয়ে মেয়েটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শোভন কুমার বসাক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি চিকিৎসাধীন। তার মুখে অ্যাসিড ছোড়ার কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।’
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা আবদুল খালেক দুই যুবককে আসামি করে মামলা করেছেন। জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনাটি ঘটেছে। দক্ষিণ শিবা গ্রামের বেলায়েত হোসেন ও হানিফ মাঝি ওই ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।’
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, ‘অ্যাসিডে তার মুখের ডান পাশের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গায়ে শীতের কাপড় মোড়ানো থাকায় শরীরের অন্যান্য অংশ রক্ষা পায়। তবে কাপড় পুড়ে গেছে। সিরিঞ্জ দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে বেলায়েত ও হানিফকে পালিয়ে যেতে দেখেন তিনি।’
ছালমার বাবা আবদুল খালেক সিকদার বলেন, ‘আবদুল্লাহপুরের মিনা বাজারে দোকানঘরের জমি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।’
Leave a Reply