মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাইং দাবি করেছেন, দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ‘অপরিহার্য’ ছিল। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গতকাল মঙ্গলবার এমন দাবি করেন তিনি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত সেনাপ্রধানের বক্তব্যে বলা হয়, ‘বহুবার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। সে কারণেই আমরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম।’
এর আগে, গত সোমবার ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী। রাজধানী নেপিদো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। আর দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় জরুরি অবস্থা।
এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। অং সান সু চির সরকারকে উচ্ছেদ করা অপরিহার্য ছিলো বলে মন্তব্য করেন দেশটির সেনাপ্রধান। তবে সোমবারের অভ্যুত্থানে বেআইনিভাবে আটককৃত সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সেনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চীনের আপত্তির মুখে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের সময়ও একইভাবে নিরাপত্তা পরিষদের সব উদ্যোগে ভেটো দেয় চীন। বেইজিংয়ের দাবি, রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযান মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা এটা নিয়ে কথা বলার বা পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে না।
Leave a Reply