মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সু চি আটক হয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনী আজ সোমবার ভোরে বাসায় রেইড দিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। শুধু সু চিই নন, আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও। এ ছাড়া দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকেও আটক করেছে সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনএলডির মুখপাত্র মিয়ো নিউন্ট।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভত দেশটিতে আরও একবার অভ্যুত্থানের ঘটতে যাচ্ছে। মিয়ো নিউন্ট এই ঘটনার পর দেশের জনগণকে মাথা গরম করে কোনো কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আইন অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরের ৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সু চি র দল। আজ সোমবার সংসদ আহ্বান করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই সু চিকে আটক করা হলো।
মূলত ৮ নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে এনএলডি নেতৃত্বাধীন সরকার ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। নির্বাচনে সু চির দল ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) প্রতারণা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছে শুরু থেকেই। বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনী ও এনএলডির মধ্যে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেটার জের ধরেই আজ সোমবার ভোরে সু চি ও উইন মিন্টকে আটক করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে অং সান সুচির দল এনএলডি ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার ক্ষেত্রে তার নিরব সমর্থনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সু চি ও তার দলের ভাবমূর্তির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় ২০১৯ সালে তাকে আন্তর্জাতিক আদালতেও (আইসিজে) হাজির হতে হয়েছিল।
Leave a Reply