দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক, আদালতে বিয়ের পরে গতকাল মঙ্গলবার দুই পরিবারের সম্মতি মিলে। কিন্তু বাসর রাত শেষে গতকাল বুধবার সকালে ফ্যানের সঙ্গে পাওয়া গেল নববধূর ঝুলন্ত দেহ। টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার পশ্চিমপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাসাইল জড়াশাহীবাগ এলাকার আবুল হাশেম খানশুরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল আক্তার তন্নীর সঙ্গে বাসাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জেরে গতকাল মঙ্গলবার তারা দুজনে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম রাত পোহাতে না পোহাতেই ওই ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তন্নীর লাশ পাওয়া যায়।
নিহত জান্নাতুল আক্তার তন্নীর মা বিউটি বেগম বলেন, ‘স্বামীর বাড়িতে মেয়েটি প্রথম রাত কাটায়। এরপর সকালে জানতে পারি মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
তন্নীর স্বামী সাদেক আহমেদ সাইমের ভাবি হাশি খানম বলেন, ‘সকালে সবাই একত্রে খাবার খেয়েছি। পরে আমার দেবর সাইম বাজারে যায়। এরপর সবার অজান্তে সাইমের বউ তন্নী আত্মহত্যা করে।’
বাসাইল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘বাসর রাত শেষে সকালে মেয়েটির স্বামী বাজারে যায়। পরে ঝুলন্ত অবস্থার মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা বুঝছি না।’
বাসাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।’
Leave a Reply