যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের নিয়ে দেশটির নাগরিকদের যেমন আশা-আকাঙ্খা থাকে, তেমনি থাকে তাদের ফার্স্ট লেডিদের নিয়েও। এ যাবতকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে নিয়ে বিস্তর আশা না থাকলেও তার স্ত্রী মেলানিয়ার প্রতি উৎসাহ প্রবল ছিল মার্কিনিদের। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি, হিলারি ক্লিনটন বা মিশেল ওবামা যেমন তাদের নাগরিকদের প্রতি সৃহৃদ ছিলেন, তার উল্টো মেলানিয়া ট্রাম্প। যে কারণে সবচেয়ে কম জনপ্রিয়তা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচ্ছে তাকে।
গতকাল রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবরে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪২ শতাংশ মেলানিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং ৪৭ শতাংশ অবস্থান নিয়েছিলেন তার বিপক্ষে। বাকিরা ফার্স্ট লেডি সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি।
স্বামীর সমালোচনা বেশি বা জনপ্রিয়তা কম থাকলেও তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মেলানিয়া। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে মেলানিয়ার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। শুধু রিপাবলিকান দলে মেলানিয়ার জনপ্রিয়তা ৮৪ শতাংশ। সেখানে ট্রাম্প ও পেন্সের জনপ্রিয়তা যথাক্রমে ৭৯ ও ৭২ শতাংশ।
গত ৯ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছিলেন এক হাজার তিনজন। তাদের জরিপে দেখা গেছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৩৩ শতাংশের কাছাকাছি।
সিএনএন জরিপ অনুযায়ী মেলানিয়ার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা ছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। সে সময় তিনি ট্রাম্পকে ছাড়াই সাবেক ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। তবুও মেলানিয়া তার পূর্বসূরী ফার্স্ট লেডিদের তুলনায় অনেক কম জনপ্রিয়তা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন।
২০১৭ সালের জানুয়ারির সংবাদমাধ্যমটির জরিপে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার জনপ্রিয়তা ছিল ৬৯ শতাংশ। তার আগে, সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশও ইতিবাচক জনপ্রিয়তা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সেসময় ৩৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা পেলেও লরা বুশ পেয়েছিলেন ৬৭ শতাংশ জনপ্রিয়তা। এরও আগে, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনও বর্তমান ফার্স্ট লেডির চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন। সেসময় হিলারির জনপ্রিয়তা ছিল ৫৬ শতাংশ, যা মেলানিয়ার চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।
Leave a Reply