করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ডের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটিরও বেশি নাগরিক টিকার আওতায় এসেছেন।
এই তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস্ ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সেন্টার। বুধবার পর্যন্ত এক কোটি দুই লাখ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে সিডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিডিসি ও প্রেসিডেন্টের কার্যালয় মঙ্গলবার কাদের প্রথমে টিকা দেওয়া উচিত সে বিষয়ে রাজ্যগুলোকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
এতদিন স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কঠোর নিয়মের কারণে টিকাদান কর্মসূচির গতি মন্থর হয়ে পড়েছিল। তাই রাজ্যগুলোকে এখন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা মন্ত্রী আলেক্স আজার জানিয়েছেন, জরুরি ব্যবহারের জন্য যে দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে প্রশাসন সেগুলোর সব মজুদ ছেড়ে দিচ্ছে, যার মধ্যে সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করার জন্য সংরক্ষিত রাখা কিছু টিকাও আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে রোববার জরুরিভিত্তিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ১০ কোটি মার্কিনিকে এ টিকার আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফাইজারের এ করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জরুরিভিত্তিতে দেশটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোভিড ১৯-এ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই কোটি ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬ জন।
Leave a Reply