নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র। অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটের খেলাতেও গোলের দেখা নেই। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে শেষ হাসি বার্সেলোনার। গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের নৈপুণ্যে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে কাতালান শিবির (৩-২, পেনাল্টি স্কোর)।
কোর্দোবায় শুরু থেকে ভালো খেলছিল সোসিয়েদাদ। মেসি না থাকায় বার্সার আক্রমণভাগ ছিল অনেকটাই ধূসর। তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সোসিয়েদাদ। তবে ছয় গজ বাইরে থেকে অরক্ষিত আলেকসান্দার ইসাকের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। আট মিনিট পর ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন পোর্তু। খানিক পর ইসাকের আরেকটি প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে উঠে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে বার্সেলোনা। ৩৯ মিনিটে লিডও নিয়ে ফেলে বার্সা। গ্রিজমানের ক্রসে দারুণ দক্ষতায় হেডে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান ডি ইয়ং (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ওইয়ারসাবালের সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে সোসিয়েদাদ। ডি-বক্সে ডি ইয়ংয়ের কনুইয়ে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় দলটি।
এরপর ম্যাচে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানেও আর গোল হয়নি। টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে দুটি শটে সফল সোসিয়েদাদ। গোল দুটি করেন মিকেল মেরিনো ও আদনান ইয়ানুজাই। বাউতিস্তা ও ওইয়ারসাবালের শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন। উইলিয়ান জোসে মারেন পোস্টে।
বার্সার হয়ে প্রথম শটেই মিস করেন ডি ইয়ং। পরের দুটি শটে সফল উসমান দেম্বেলে ও মিরালেম পিয়ানিচ। চতুর্থ শটে হতাশ করেন গ্রিজমান। উড়িয়ে মারেন। শেষে রিকি পুস শেষ শটে বল জালে পাঠালে ফাইনালে উঠার আন্দন্দে ভাসতে থাকে বার্সা।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও আথলেতিক বিলবাও। রিয়াল মাদ্রিদ জিতলে সুপার কাপে অনেক দিন পর পাওয়া যাবে এল ক্লাসিকোর স্বাদ।
Leave a Reply