চীনে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এজন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এ গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান তিনি।
তবে করোনাভাইরাসে চীন যখন টালমাটাল অবস্থায়,ঠিক সেই সময় ঘরোয়া বাজারে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম কমছে ভারতে। দেশটিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম কমছে। গতকাল রোববারও সেই ধারা অব্যাহত থেকে জ্বালানির দাম উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দিল্লিতে পেট্রলের দাম প্রতি লিটারে ৩০ পয়সা হ্রাস পেয়ে ৭৩ দশমিক ৮৬ রুপিতে দাঁড়িয়েছে। গত দুমাসের মধ্যে এ দিনই রাজধানীতে পেট্রলের দাম সবচেয়ে কম।
এদিকে প্রতি লিটারে ৩৫ পয়সা কমে এদিন দিল্লিতে ডিজেলের দাম ছিল ৬৬ দশমিক ৯৬ রুপি। আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমানে দৈনিক ভিত্তিতে ঘরোয়া বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দাম নির্ধারণ করে তেল কোম্পানিগুলো।
রাজধানী দিল্লি ছাড়াও দেশের বাকি তিন মহানগরেও গতকাল পেট্রল-ডিজেলের দাম বেশ কিছুটা কমেছে। কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রল এবং ডিজেল বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭৬ দশমিক ৪৮ এবং ৬৯ দশমিক ৩২ রুপি দরে।
ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইতে এদিন প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ছিল ৭৯ দশমিক ৪৭ রুপি। আর ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৭০ দশমিক ১৯ রুপিতে। আর দক্ষিণের শহর চেন্নাইতে রোববার প্রতি লিটার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৭৬ দশমিক ৭১ এবং ৭০ দশমিক ৭৩ রুপি।
চীনে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির ঘরোয়া জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে। ফলে বেইজিং আগের থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে। যার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারেও কমছে তেলের দাম।
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজার ব্রেন্টে তেলের দাম ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৬০ দশমিক ৬৯ ডলার।
ঘরোয়া বাজারে মোট প্রয়োজনীয় তেলের প্রায় ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল এবং টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্যের অদল বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ঘরোয়া বাজারেও তেলের দাম পরিবর্তিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হ্রাস পাওয়ায় এ দেশের ঘরোয়া বাজারে তার সুফল মিলছে।
Leave a Reply