1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: ফরহাদ মজহার চলতি মাসে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়, রয়েছে বন্যার শঙ্কাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা জানালেন ড. ইউনূস খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ

ফিরতে চান বেসিক ব্যাংকের খেলাপিরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের বড় খেলাপিরা এক সময় ব্যাংকটিকে এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু তারা আবার ব্যাংকটির সঙ্গে লেনদেনে ফিরতে চান। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নীতিমালার আলোকে সুবিধা নিয়েই তারা ব্যাংকটিতে ফিরতে আগ্রহী। নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মাত্র ২ শতাংশ পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়া যাবে। এ সুবিধার আওতায় ঋণখেলাপিরা বেসিক ব্যাংকে ফিরতে চান। তবে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ তাদের ফেরাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ঋণ বিতরণে জামানত হিসেবে ভুয়া সম্পত্তি প্রদান, বন্ধকি জামানতের ত্রুটিপূর্ণ মালিকানা, হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট ও ক্রেডিট রেটিং রিপোর্ট গ্রহণ না করা, ছলচাতুরীর মাধ্যমে কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্থ উত্তোলন এবং সর্বোপরি ব্যাংকিং নিয়মাচার লঙ্ঘন করে ঋণ দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। ফলে ব্যাংকটির অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালের ২৯ মে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করে।

সরকার ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবদুল হাইকে অপসারণ না করে ওই বছরের ৬ জুলাই পদত্যাগের সুযোগ দেয়। তার সময়েই ব্যাংকটিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি হয়। তার সময়ে দেওয়া সিংহভাগ ঋণই এখন খেলাপি। এ ছাড়া ব্যাংকটির অন্য অনেক ঋণও খারাপ হয়ে পড়ে। শুধু বেসিক ব্যাংকেই নয়, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণ বড় সংকট হয়ে পড়ে। আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই খেলাপি ঋণ কমানোর উদ্যোগ নেন। একই সঙ্গে নতুন করে যেন আর ঋণ খেলাপি না হয়, সে জন্য বেশকিছু সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনেরও উদ্যোগ নেন তিনি।

খেলাপি ঋণ কমাতে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৬ মে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন ঋণ শোধসংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করে। সে অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মাত্র ২ শতাংশ পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদহারও ঠিক করে দেওয়া হয় ৯ শতাংশ। এসব গ্রাহকের সুদ মওকুফের সুযোগও রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া বিশেষ এ সুবিধার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২০ অক্টোবর। এরপর সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী তার ঋণ নিয়মিত করেছেন।

জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের বড় খেলাপিরা একসময় ব্যাংকটিকে এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু এখন অনেক খেলাপি গ্রাহকই ঋণ পুনঃতফসিলে দেওয়া বিশেষ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যাংকে আবেদন করেন। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ মনে করে, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে নানা অনিয়ম হয়। এ সময় ঋণ বিতরণে জামানত হিসেবে ভুয়া সম্পত্তি প্রদান, বন্ধকি জামানতের ত্রুটিপূর্ণ মালিকানা, হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট ও ক্রেডিট রেটিং রিপোর্ট গ্রহণ না করা, ছলচাতুরীর মাধ্যমে কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্থ উত্তোলন এবং সর্বোপরি ব্যাংকিং নিয়মাচার লঙ্ঘন করে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ০৫/২০১৯ সার্কুলারের আওতায় ঋণ পুনঃতফসিলের প্রস্তাব নাকচ করে। এ বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ মনে করে, যারা ছলচাতুরী করে অনিয়মের আশ্রয়ে ঋণ নিয়েছেন, তারা কখনই প্রকৃত ব্যবসায়ী হতে পারেন না। এ জন্য তাদের ঋণ পুনঃতফসিলের প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে।

জানা গেছে, পুনঃতফসিলের আবেদন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ নাকচ করায় ব্যবসায়ীরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জানতে চায়। এ বিষয়ে গত ১৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার অবস্থান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান, তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণসমূহ বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ করে পুনঃতফসিলের সুযোগ থাকলেও ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনঃতফসিল প্রস্তাব অনুমোদন বা বাতিলের পূর্ণ এখতিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের আছে। কেননা, আলোচ্য ঋণ পুনঃতফসিল করার পর ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তার দায় বর্তমান পর্ষদকে নিতে হবে। ব্যাংক কোম্পানির নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও সেসবের পরিপালনের জন্য পরিচালনা পর্ষদ দায়বদ্ধ। যারা অনিয়মের আশ্রয়ে ঋণ নিয়েছে তারা প্রকৃত ব্যবসায়ী নয়- এ বিবেচনায় পুনঃতফসিল সুবিধা না দেওয়া পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অংশ মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুযোগ কাজে লাগাতে চান অনেক খেলাপি গ্রাহক। তারা ২,৮০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়মিত করার আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, নিয়ম অনুসারে যারা ঋণ নেয়নি, তাদের এ সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরিচালনা পর্ষদ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এসব খেলাপি ঋণ মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে যেসব কাগজপত্র এবং নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটেছে, সেগুলো ঠিক করে মূলধারায় আনা যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com