কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সেই আঁচ পড়ে ক্রিকেটেও। সে কারণেই কিছুদিন আগে ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটারদের একাংশ। পরে সেই ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
সম্প্রতি ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচিতে আবারও একই গ্রুপে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান। তবে এতে দেশটির কিছু মিডিয়া ও সাবেক ক্রিকেটাররা খুশি হতে পারছেন না। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের ম্যাচ বাতিলের পক্ষে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টটি বাদ দেওয়া কিংবা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলার সুযোগ ভারতের সামনে নেই।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র গতকাল রবিবার সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে জানায়, ‘বিসিসিআই এখন টুর্নামেন্ট বা ম্যাচ থেকে সরে আসতে পারে না। এসিসির বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে। যেহেতু ভারত আয়োজক দেশ, তাই এই পর্যায়ে কিছুই পরিবর্তন করা যাবে না। (এসিসি সভায়) কর্মকর্তা-স্তরে আলোচনা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ীই সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। ম্যাচটি নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারেই অনুষ্ঠিত হবে।’
বলে রাখা ভালো, এবারের এশিয়া কাপের মূল আয়োজক ভারত হলেও সেটি অনুষ্ঠিত হবে আরব আমিরাতের মাটিতে। কারণ, কিন্তু আন্তঃসীমান্ত উত্তেজনার কারণে ভারত ও পাকিস্তান কমপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত কেবল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে পারবে এমন একটি চুক্তি করেছে।
এশিয়া কাপের সময়সূচি ঘোষণার পর বিসিসিআই এখনো পর্যন্ত মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে বয়কট করার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। কয়েক মাসের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, এসিসি সভাপতি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের তারিখ ঘোষণা করেছেন।
৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে ৪টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। যেখানে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। এখানকার অন্য ৩টি দল হলো আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং হংকং। আর ‘এ’ গ্রুপের চার দল- ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান ও হংকংয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ১৪ সেপ্টেম্বর হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার পর প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেখানে আরও একবার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ থাকবে ভারত-পাকিস্তানের।
সুপার ফোর পর্ব শেষ হওয়ার পর সেখানকার শীর্ষ দুটি দল ফাইনাল খেলবে। যেটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ২০২৩ সালের আসরে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
Leave a Reply