থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে চলমান উত্তেজনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার তিনি বলেছেন যে, সীমান্ত সংঘর্ষের পর উভয় দেশ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চেয়েছিল, তাই তিনি সেই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
স্কটিশ গলফ কোর্সে তার ব্যক্তিগত সফরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, উভয় দেশ অবিলম্বে দেখা করতে এবং দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি ও শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই নিশ্চিত করেছেন যে ‘নীতিগতভাবে থাই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে’।
তবে তিনি বলেছেন, থাইল্যান্ড এই বিষয়ে কম্বোডিয়ান পক্ষের আন্তরিকতা দেখতে চায়।
গত ২৪ জুলাই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৩৩ জন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং হাজার হাজার থাই ও কম্বোডিয়ান নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, যদিও যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা করা উপযুক্ত নয়।
কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের উপর মার্কিন শুল্ক কার্যকর হওয়ার এক সপ্তাহ আগে তিনি এ কথা বলেছেন।
আগামী ১ আগস্ট থেকে, থাইল্যান্ড বা কম্বোডিয়া থেকে পণ্য পরিবহনকারী মার্কিন ব্যবসাগুলিকে ৩৬% কর দিতে হবে যদি না তার আগে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
যদিও শনিবার কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিল।
তার মধ্যে ট্রাম্প কীভাবে এই পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়, কারণ মাত্র একদিন আগে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়ামপংসা বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না আমাদের এখনও তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন রয়েছে।’
Leave a Reply