চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেই বড় হারের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে নামটা যেহেতু রিয়াল তাই প্রত্যাবর্তনের গল্প তাদের কাছে আশা করাই যেত। কিন্তু প্রত্যাশাচার চাপে যেন ভেঙে পড়ল আসরের সবচেয়ে সফল দলটি। দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠেই আর্সেনালের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের অগ্রগামিতায় ২০০৯ সালের পর প্রথমবার ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে পা রাখল মিকেল আর্তেতার দল।
বুধবার রাতে ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি মহাকাব্য রচনার স্বপ্নে মাঠে নামলেও পুরো ম্যাচে ন্যূনতম সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি রিয়াল। উল্টো বুকায়ো সাকার গোলে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে তারা। মুহূর্তের মধ্যে সেটা ভিনিসিউস জুনিয়র শোধ করলেও, বিবর্ণতা ঝেড়ে ফেলতে পারেনি দলটি। শেষ মুহূর্তে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে উৎসব শুরু হয় গানারদের।
এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল আর্সেনাল নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতেছিল।
ঘরের মাঠে বিবর্ণ ফুটবল খেলা রিয়াল ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে গোল হজম করে বসে। দেখেশুনে ছোট ছোট পাসে শাণানো আক্রমণে মেরিনো দারুণ এক থ্রু পাস বাড়ান বক্সে, আর চোখের পলকে ছুটে গিয়ে চিপ শটে কোর্তোয়ার ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন বুকায়ো সাকা। তিনি বক্সের ঢোকার সময়ে একই লাইনে দাঁড়িয়েই ছিলেন চার ডিফেন্ডার!
তবে দুই মিনিট পরেই মারাত্মক এক ভুল করে বসেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা। গোলরক্ষকের পাস পেয়ে মুভ করতে দেরি করে ফেললেন, ডান পাশ দিয়ে ছুটে আসছেন ভিনিসিউস, খেয়ালও করলেন না। সেই সুযোগে তার থেকে বল কেড়ে নিয়ে জোরাল শটে ব্যবধান আগের জায়গায় নিলেন ভিনিসিউস।
কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়ালের ব্যর্থতার গল্পের ষোলকলা পূর্ণ হয়। মেরিনোর থ্রু বল ধরে জয়সূচক গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্তিনেল্লি।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজির মুখোমুখি হবে আর্সেনাল।
Leave a Reply