1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইশরাক ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা এবার বাধ্যতামূলক অবসরে ৪ ডিআইজি ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা বহিষ্কৃত সেই চাঁদাবাজ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪ ‘আজীবন আমার ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা’ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসছেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৭ বছর পর গ্রামের বাড়িতে বিএনপি নেতা বাবর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

সংসদীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন করে পাকিস্তান আমলের ১৯৬০-এর দশকে জেনারেল আইয়ুব খান প্রবর্তিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংসদীয় পদ্ধতির আদলে প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। বর্তমানে পাঁচটি পৃথক আইনের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হলেও সুপারিশে দুটি আইনের মাধ্যমে পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। কমিশনের মতে, এই ব্যবস্থা চালু করতে পারলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাংগঠিক কাঠামো দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকবে। এর একটি বিধানিক অংশ, অপরটি নির্বাহী অংশ। বিধানিক অংশের প্রধান হবেন ‘সভাধ্যক্ষ’, যা জাতীয় সংসদ স্পিকারের অনুরূপ। নির্বাহী অংশের প্রধান হবেন চেয়ারম্যান বা মেয়র, যিনি পরিষদ বা কাউন্সিল নেতা হিসেবেও পরিগণিত হবেন, যা সংসদ নেতার অনুরূপ। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সুপারিশে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে। এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে তিন স্তরের ‘গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের’ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বিদ্যমান। এই তিন স্তর গ্রামীণ স্থানীয় সরকার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ। আর নগর স্থানীয় সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন রয়েছে।

এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইন ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবে তিনটি গ্রামীণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জেলা পরিষদের কার্য ও কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, জেলা পরিষদ হবে একটি বিকেন্দ্রীকৃত পরিকল্পনা ইউনিট। ডেপুটি কমিশনারের অফিস পৃথকভাবে জাতীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত থাকবে। আর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জেলার সব উন্নয়ন সংক্রান্ত দপ্তরগুলো জেলা পরিষদের হাতে ন্যস্ত থাকবে। যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়িত হবেন। অনুরূপভাবে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন দপ্তরগুলোতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কাজকর্ম এবং অর্থ সম্পদ পরিষদের হাতে ন্যস্ত হবে।

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুত নগরায়ণের ফলে নগর সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং গ্রামীণ এলাকা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে স্থানীয় সরকারের স্তর সংখ্যা হ্রাস করে গ্রামীণ ও নগরীয় ব্যবস্থার বিভাজন দূর করে সমজাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দিকে এগোতে হবে। কমিশন মনে করে, বিদ্যামন গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামোসমূহ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের আইনি কাঠামো, সাংগঠনিক কাঠামো ও নির্বাচনব্যবস্থা অসম পদ্ধতিতে বিন্যাস্ত। এটিকে একটি সমজাতীয় পদ্ধতিতে পুনঃস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদীয় পদ্ধতি : সুপারিশে বলা হয়, দেশের জাতীয় সরকারের আদলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানসমূহকে সংসদীয় পদ্ধতির আদলে পুনর্গঠন, নির্বাচন ও কার্যপদ্ধতি পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন হবে। এ পদ্ধতিসমূহ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনব্যবস্থা সহজ, ব্যয় সাশ্রয়ী, সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ, তৃণমূলে গণতান্ত্রিক ও গঠনমূলক নীতি বিতর্ক করার ইতিবাচক একটি ব্যবস্থার বিকাশ হতে পারে। জাতীয় সংসদে যেমন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা থাকেন সকল সংসদীয় কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে, একইভাবে গ্রাম ও নগর নির্বিশেষে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য বা কাউন্সিলর হবেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রধান নিয়ামক।

সংস্কার কমিশন বলেছে, গ্রাম-নগর নির্বিশেষে প্রতিটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকবে, বিধানিক অংশ, নির্বাহী অংশ। বিধানিক অংশের প্রধান হবেন ‘সভাধ্যক্ষ’ এবং নির্বাহী অংশের প্রধান হবেন চেয়ারম্যান বা মেয়র। সভাধ্যক্ষ জাতীয় সংসদের স্পিকারের অনুরূপ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরিষদের সভা অধিবেশন আহ্বান করবেন। সকল সদস্য যাতে তাদের মতামত দিতে পারেন, কোনো বিশেষ বিষয়ে বিতর্কে অংশ নিতে পরেন, সেসব বিষয়সমূহ তিনি নিশ্চিত করবেন। তেমনি সকল স্থানীয় কমিটিগুলো গঠন ও সভাসমূহ নিয়মিত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন।

সভাধ্যক্ষকে সহায়তা করবেন একজন পূর্ণকালীন সচিব এবং পাঁচ সদস্যের একটি সচিবালয়। সাধারণ নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশের পর সকল সদস্য আইনে নির্ধারিত একটি শপথনামা পাঠ করে সেটিতে স্বাক্ষর করবেন। পরিষদ বা কাউন্সিলের বাইরে থেকে কোনো কর্মকর্তা এসে সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন না। শপথগ্রহণের পর পরিষদের প্রথম সভায় সকল সাধারণ সদস্যের ভোটে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শপথের পর ‘সভাধ্যক্ষ’ নির্বাচনের মনোয়ন গ্রহণ করবেন এবং গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাধ্যক্ষ নির্বাচন সমাপ্ত করবেন। সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর তার সভাপতিত্বে পরিষদের চেয়ারম্যান কাউন্সিল বা পরিষদের মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরিষদের অভ্যন্তরে গোপন ব্যালটে সদস্যরা সদস্যদের মধ্য হতে চেয়ারম্যান এবং মেয়র নির্বাচন করবেন। এ সময় উপজেলা নির্বাচন অফিস বা নির্বাচন কমিশন মনোনীত উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। তিনি সভাধ্যক্ষকে এ নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবেন।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি পরিষদ নেতা হিসেবে আইন অনুযায়ী তিন বা পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট চেয়ারম্যান বা মেয়রের নির্বাহী কাউন্সিল গঠন করে তা পরিষদের অবগতির জন্য সভাধক্ষ্যের কাছে পেশ করবেন। নির্বাহী পরিষদে এক-তৃতীয়াশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন। পরিষদ বা কাউন্সিল কোনো নির্বাহী সদস্যের ব্যাপারে আপত্তি জানাতে পারবেন। আপত্তি জানালে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠনের সুযোগ পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় বিবেচ্য বিষয় হতে পারে যে চেয়ারম্যান, মেয়র এবং নির্বাহী সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যথাক্রমে স্নাতক এবং নির্বাহী সদস্যগণ মাধ্যমিক পাসের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবেন।

পরিষদের একজন পরিষদ নেতা থাকবেন। তিনি হবেন চেয়ারম্যান বা মেয়র। চেয়ারম্যান পরিষদ ও মেয়র কাউন্সিল গঠিত হওয়ার পর সভাধ্যক্ষ একজন ‘ছায়া পরিষদ নেতা’ নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন। ছায়া পরিষদের নেতা বিরোধী নেতা হিসেবে স্বীকৃত হবেন। চেয়ারম্যান মেয়র এবং নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যগণ ব্যতিত অন্য সকল সদস্য বা কাউন্সিলরগণ ‘ছায়া পরিষদ নেতাকে’ ভোট দিতে পারবেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত সুপারিশ : কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, সংবিধানের তৃতীয় পরিচ্ছদের সকল ‘স্থানীয় শাসন’ শব্দাবলির স্থলে ‘স্থানীয় সরকার’ প্রতিস্থাপিত হবে। স্থানীয় সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শব্দ বা প্রত্যয়। অনুবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় সরকারের মূল ধারণা বিকৃত হয়ে পড়েছে। তাই স্থানীয় সরকার সংবিধানে সংস্থাপিত হওয়া প্রয়োজন। সংবিধানে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী একটি কার্যকর সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ করে দিতে হবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে স্থানীয় পরিষদের নির্বাচনৎসমূহ পরিচালনা করবে। ফলে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধের অপেক্ষা করতে হবে না।

সুপারিশে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে নির্বাচনের রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। স্থানীয় সরকারের ‘স্থানীয় সরকার সার্ভিস’ নাম একটি নিজস্ব সার্ভিস কাঠামো থাকবে। সে সার্ভিসের অধিনে জনবলের ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী পদায়নের সুযোগ থাকবে।

জুনে নির্বাচন : এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে কার্যত কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই। এই মুহূর্তে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসাথে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। আগামী মার্চ-এপ্রিল এর মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করে জুন মাসের মধ্যে সকল সমতল ও পাহাড়ে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয় সরকার, রাজনৈতিক দল সময় এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান, মেয়রদের ও কাউন্সিল সদস্যদের বেতন কাঠামো : চেয়ারম্যান ও মেয়র এবং তাদের নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যরা হবেন পরিষদ ও পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তারা নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণের অধিকারী হবেন। চেয়ারম্যান ও মেয়ররা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে গণ্য হবেন। নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহীর এক স্তর উপরের গ্রেডে বেতন/ভাতা পাবেন। নির্বাহী কাউন্সিলের সকল সদস্য সরকারের চাকরিতে প্রবেশকালীন সময়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, যেসব গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী, সেসব দেশকে অনুসরণ করেই সুপারিশগুলো করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের সিদ্ধান্ত সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রহণ করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়ন করবেন, আর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কাঠামো নিজেদের মতো কাজ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com