পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারামুক্তির দাবিতে সমর্থকদের আন্দোলনে উত্তাল পাকিস্তান। ইতোমধ্যেই ইসলামাবাদমুখী বিক্ষোভ সহিংসতার রূপ ধারণ করেছে। এ আন্দোলনে সংঘটিত সংঘর্ষে ৫ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। খবর ডেইলি পাকিস্তানের।
পরিস্থিতি শামাল দিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে গুলি চালানোরও নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জাজা গেছে।
এদিকে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ইমরান সমর্থকদের আন্দোলন। লক্ষ লক্ষ সমর্থক রাজধানী ইসলামাবাদে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষেই ৫ সেনাকর্মীর মত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১১৯ জন। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের ২২টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ইমরান খানের সমর্থকরা। ইতোমধ্যেই তেহরিক-ই-পাকিস্তানের ৪ হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুন খাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইমরান খান যতক্ষণ না মুক্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ আমরা পিছু হটব না। এগিয়েই যাব। সবাই প্রস্তুত হন। আমাদের আরও বাধা পেরোতে হবে।’
শুরু থেকেই বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। সোমবার তিনি বলেন, ‘খানকে (ইমরান খান) ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আমরা এখানে এসেছি। ইমরান খানকে নিয়েই ফিরব।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ইমরান খান একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হন। তবে ইমরান খানের দল প্রথম থেকেই এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছে। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন ইমরান। তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
Leave a Reply