আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রাক-বিচার ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার ব্যাপারে আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খানকে অনুমতি দেবে কিনা সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।
গত ১০ জুন বিষয়টিতে আইসিসির এখতিয়ারের বিরুদ্ধে ‘আদালতের বন্ধু’ হতে ইংল্যান্ডের আবেদন করার প্রেক্ষাপটে এই স্থগিতাদেশ এলো।
বৃহস্পতিবারের আদেশটি কেবল ইংল্যান্ডকে হস্তক্ষেপ করার সুযোগই দেয়নি, সেইসাথে অন্যান্য দেশকেও এ কাজে এগিয়ে আসার পথ খুলে দিলো।
আইসিসি ১২ জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশকে তাদের বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ দিয়েছে।
তাছাড়া, আইসিসি জানিয়েছে, এসব দেশের বক্তব্য এবং পুরো বিতর্ক প্রক্রিয়াটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হতে পারে, যদিও সন্দেহভাজন যাতে সতর্ক হতে না পারে, সেজন্য সাধারণভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া গোপন রাখা হয়।
আইসিসির এই সিদ্ধান্তের ফলে পুরো গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর প্রক্রিয়াটি সহজেই কয়েক মাস পর্যন্ত ঝুলিয়ে দেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলি মিত্ররা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র বিরোধিতা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইসিসির সম্পৃক্ততা ক্ষোভ সৃষ্টিকারী।
আইসিসি অবশ্য নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ছাড়াও গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ তিন নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চায়।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply