সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে ঘিরে মারধরের মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকেও জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি মো: রেজাউল হক ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরআগে, গত সোমবার (১৮ মার্চ) ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলমের আদালতে কাজলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বিথী।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনায় পরদিন ৮ মার্চ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। মামলার দিন রাতে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে রুহুল কুদ্দুসকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথীসহ চার আইনজীবীর পৃথক আগাম জামিন বুধবারের হাইকোর্টে মঞ্জুর হয়।
Leave a Reply