দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে দুই উপজাতীয় গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রবিবার পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের ইনগা প্রদেশের হাইল্যান্ডে গোলাগুলিতে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমের ওয়াবাগ শহরের কাছে মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
রয়্যাল পাপুয়া নিউগিনি কনস্ট্যাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাস এবিসি নিউজকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এর আগে এমন ঘটনা দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিধ্বস্ত, আমরা সবাই মানসিকভাবে চাপে আছি। এটা বোঝানো সত্যিই কঠিন।পুলিশ ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও ও ফুটেজ পেয়েছে। সেখানে একটি লাশবোঝাই ট্রাক দেখা গেছে।’
পাপুয়া নিউগিনিতে এখনো অন্তত কয়েকশ গোত্র আছে। তাদের অধিকাংশই অন্যদের প্রতি সহনশীল নয় এবং এসব গোত্র সাধারণত দুর্গম পার্বত্য এলাকায় বাস করে।দেশটিতে প্রায়ই জমি ও সম্পদ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে জাতিগত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অনুমান-গত বছর ইনগায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সম্ভব সেই সংঘর্ষে জড়িত একটি গোষ্ঠী গতকালের সংঘর্ষেও জড়িত ছিল।
এদিকে এই সংঘর্ষের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, ‘পাপুয়া নিউগিনি থেকে এমন সংবাদ পাওয়াটা খুবই হতাশাজনক। পাপুয়া নিউগিনির নিরাপত্তার জন্য আমরা যথেষ্ট সহায়তা দিচ্ছি, বিশেষ করে পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
Leave a Reply