1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় পেছাল

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি মামলাটি যুক্তিতর্কের শুনানির পর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ঠিক করেন একই আদালত।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ডা. হাসান আলীর ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা ও মন্টু।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ জানান, তারা আশা করছেন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হবে।

আদালত মামলাটির বিচারকালে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। মামলাটি প্রথমে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন ছিল। ১৩৫ কার্যদিবসে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে রায় ঘোষণাকারী আদালতে পাঠানো হয়।

৩৫ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রমনা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী সগিরা মোর্শেদ মেয়েকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আনতে গিয়ে স্কুলের কাছেই রিকশায় থাকাস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সগিরা মোর্শেদ মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বামী আবদুস ছালাম চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলা ২৫ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে গড়ে একজন করে আসামি গ্রেপ্তার করেন। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টু নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আদালতে বিচারও শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষ্য গ্রহণের এক পর্যায়ে সাক্ষীরা মারুফ রেজা নামের এক ব্যক্তির নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জানান। ফলে আদালত পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান মারুফ রেজা। এরপর হাইকোর্ট ২০১৯ সালের হাইকোর্ট পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই মারুফ রেজাকে ঘিরে তদন্তে নেমে হত্যার আসল রহস্য বের করেন। ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালত চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

চার্জশিটে বলা হয়, হত্যাকারী মারুফ রেজার মোটরসাইকেলের পেছনে আসামি হাসানের শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান যান। যাতে সগিরাকে সহজে দেখিয়ে দিতে পারেন। রেজওয়ান দেখিয়ে দিলে মারুফ রেজার গুলি করে পালিয়ে যায়।

ডা. হাসান আলী চৌধুরী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ইস্কাটনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। আসামি মারুফ রেজা তার রোগী ছিলেন। সে শহরে মাস্তানি করত। সগিরা মোর্শেদকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি তাকেই ঠিক করেন। তার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হয় এ কাজের জন্য। কিন্তু সে সগিরা মোর্শেদকে চিনত না। এজন্য তার শ্যালককে দায়িত্ব দেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য।

সগিরা মোর্শেদের স্বামীর নাম আবদুস ছালাম চৌধুরী। তার বড় ভাইয়ের নাম সামছুল আলম চৌধুরী। মেজো ভাই চিকিৎসক হাসান আলী চৌধুরী। তিনজনই তাদের পরিবার নিয়ে আউটার সার্কুলার রোডে তখন বসবাস করতেন। সগিরা মোর্শেদরা থাকতেন দ্বিতীয় তলায়। চিকিৎসক হাসান তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীনকে নিয়ে থাকতেন ওই বাসার তৃতীয় তলায়। শাহীন তিন তলা থেকে প্রায় সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন, যা সগিরা মোর্শেদের পেছনের রান্না ঘর ও সামনের বারান্দায় পড়ত। এ নিয়ে সগিরার সঙ্গে শাহীনের প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো। ওই তুচ্ছ কারণেই শাহীন সগিরাকে শায়েস্তা করার জন্য তার স্বামী হাসানকে দিয়ে তার রোগী তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সন্ত্রাসী মারুফ রেজাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com