সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে ৫০ বছর সময় লাগলেও দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। আজ শুক্রবার এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘এটা বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয় আপনাদের (সাংবাদিক)জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্যভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধটা করেছে তাদেরকে ধরার জন্য সব রকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে এবং আপেক্ষিকভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য যত সময় লাগুক তাদেরকে আমরা ধরব। এই কথাকে আপনারা (সাংবাদিক) মনে করেছেন যে, ৫০ বছর লাগবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আসল অপরাধীকে ধরা উচিত। আমাদের আইনি কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধীকে নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন ক্ষেপে। আমি বুঝলাম না, ভালো কথা বললেও আপনারা এ রকম ক্ষেপে যান কেন?’
এই মামলাটির তদন্ত ধীর গতি হচ্ছে কি না এবং এ রকম বিলম্বে তদন্তের আর নজির আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যেই কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। পৃথিবীতে এরকম অনেক মামলা আছে, ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামিদেরকে ধরতে পেরেছে। আমেরিকায় কিছু দিন আগে ২৪ বছর পরে একটি খুনের মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে- পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামিকে এখন পর্যন্ত তদন্তে ধরতে পারছে না। এই জন্য তদন্তে সময় লাগছে ‘
সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক? আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীকে না ধরা হবে, ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপাজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা আক্তার পিওনা প্রমুখ।
Leave a Reply